জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে।
অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল সকালে রাজউক ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাজউক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সদস্যপর্ষদসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাজউকের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাজউক ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন, খতমে কোরআন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা এবং সবশেষে অসহায় দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।
রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবক্রম, বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য শোককে শক্তিতে রূপান্তরের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি খুনি মোশতাক জিয়ার ছত্রছায়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর অপচেষ্টা করা হয় যা বাংলার মানুষ মেনে নেয়নি, মেনে নিবে না।
সভাপতির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান বিভিন্ন লেখকের উদ্ধৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন স্মৃতিময় ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্ষমা ও পরোপকারিতার বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরেন এবং পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মানবতাবাদী নেতা বিরল মর্মে উল্লেখ করেন। সবশেষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কর্মজীবনে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য রাজউক কর্মকর্তা কর্মচারীদের আহ্বান জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন