২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৫

নিচু জমিতে বর্ষায় মাছ চাষ করে ৬০০ কৃষক আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

নিচু জমিতে বর্ষায় মাছ চাষ করে ৬০০ কৃষক আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চার গ্রামে এক ফসলি নিচু জমিতে মাছের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ৬ শতাধিক কৃষক। বর্ষা মৌসুমে নিচু জমিতে মাছ চাষ চাষের পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে ওই জমিতে ফসল উৎপাদন করছেন তারা। মাছ চাষের কারণে উর্বর জমিতে কৃষি ফলনও হচ্ছে ভালো। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, নিচু জমি হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে গৌরনদীর মাহিলাড়ার বাঘা বিলের শত শত একর জমি অনাবাদী থাকতো। ২০১৯ সালে বাঘা বিলের দেড়শ’ একর এক ফসলি জমি মাছ চাষের আওতায় আনা হয়। পরে বাঘার আদর্শ মৎস্য সমবায় সমিতির আওতায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেন তারা। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে ঘেরের মাছ ধরে পরে ওই জমিতে ধান রোপণ করেন কৃষকরা।

ওই ঘেরের সুবিধাভোগী পরিমল মাঝি, বজলুল হক মৃধা ও লিটন কবিরাজ জানান, বর্ষার সময় তাদের বিল পানিতে থৈ থৈ করে। আগাছায় ভরে যায়। এ কারণে বর্ষার শেষে বাঘার বিলের জমি আগাছামুক্ত করতে কৃষকদের হাজার হাজার টাকার শ্রমিক খরচ প্রয়োজন হতো। সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষের কারণে এখন আর আগাছা পরিষ্কারের জন্য কৃষকের অর্থ খরচ হয় না। 

তারা আরও জানান, মাছ চাষের কারণে জমির উর্বরতা বাড়ছে। এতে ওই জমিতে বোরো ধান চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমেছে। এতে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। 

বাঘার আদর্শ মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মৃধা জানান, নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বাঘার গ্রামের এক ফসলি নিচু জমি মাছ চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এই সমিতিতে প্রায় ৬০০ কৃষক রয়েছেন। বিলে বর্ষায় মাছ চাষ এবং শুষ্ক মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জমির মালিক এবং সমিতির সদস্যরা আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন। 

গৌরনদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার জানান, এ বছর ওই বিলে বিনামূল্যে মাছের পোনা সরবরাহ করা হয়েছে। মাছ চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এতে আশপাশের এলাকার অনেকেই নিচু জমিতে একতাবদ্ধ হয়ে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। 

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর