নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে পাশাপাশি সিটে বসতে দেখা গেছে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে। রবিবার দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থল নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়াম মাঠে জড়ো হতে থাকে।
শহরজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যকরী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবউদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার সর্বশেষ কাউন্সিল হয় ১৯৯৭ সালের ২০ ডিসেম্বর। অধ্যাপিকা নাজমা রহমান সভাপতি ও এমপি শামীম ওসমান সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এরপর ২০০২ সালের ২৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরামকে আহ্বায়ক করে কেন্দ্র থেকে ৬১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি করে দেওয়া হয়। পরে ২০১১ সালে নাসিক নির্বাচনের পর আকস্মিকভাবে আহ্বায়কের পদ থেকে এস এম আকরাম পদত্যাগ করে যুক্ত হন নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে। পরে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মফিজুল ইসলামকে। কিন্তু ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মফিজুল ইসলাম মারা যান। ফলে দীর্ঘ ১৪ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দিতে পারেনি এস এম আকরাম ও মফিজুল ইসলাম।
এদিকে, মফিজুল ইসলামের মৃত্যুর পর পর দুই বছর আট মাস কাণ্ডারীবিহীন থাকে জেলা আওয়ামী লীগ। পরে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের তাৎকালীন প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে সভাপতি এবং সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এড. আবু হাসনাত শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর ১৩ মাস পর ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর ৬টি পদ শূন্য রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ৭৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। কিন্তু ৫ বছরেও পূরণ হয়নি শূণ্য পদগুলো।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত