নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একজন গার্মেন্টস কর্মীকে ৮ জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৮ অক্টোবর রাতে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার বন্দর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ধর্ষক লম্পট প্রেমিক জাহিদকে (২৬) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় রবিবার ভুক্তভোগী ধর্ষিতা গার্মেন্টস কর্মীকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়। গ্রেফতারকৃত ধর্ষক জাহিদ মিয়া বন্দর কলাবাগ এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার দ্বীন ইসলামের ছেলে জাহিদ ও আমি নারায়ণগঞ্জে একটি গার্মেন্টসে কাজ করি। সে সুবাদে আমাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় কাজ শেষে জাহিদ ও আমি একসাথে বন্দর খেয়াঘাট পার হই। জাহিদ আমাকে বালুচর পার্কে লাচ্ছি খাওয়ার কথা বলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা জাহিদের সহযোগী ৭ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় বন্দর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ধর্ষিতা অভিযোগ করেছে তাকে আটকে রেখে ৭-৮ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল