শিরোনাম
২৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:৫৭

১০ দফা দাবিতে মধ্যরাত থেকে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

১০ দফা দাবিতে মধ্যরাত থেকে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মজুিরিপ্রদান সহ ১০ দফা দাবিতে আজ মধ্যরাত থেকে লাগাতার কর্মবিরতির শুরুর ঘোষণা দিয়েছে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।

দাবি আদায়ে আজ শনিবার বরিশালে বিক্ষোভ করেছেন তারা। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সহ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। 

এদিকে, নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তবে নৌযান শ্রমিকদের দাবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা। 

পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অনুযায়ী আজ মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতির শুরুর ঘোষণা দিয়েছে নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। দাবি আদায়ে সকালে বরিশাল নদী বন্দরে বিক্ষোভ করে তারা। নদীবন্দর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

নৌযান শ্রমিকদের দাবি, তাদের যে বেতন ভাতা দেয়া হয় তা খুবই সামান্য। 

নৌযান মাস্টার শহীদ মো. সানাউল হক জানান, তারা যে বেতন পান সেই অর্থ দিয়ে তাদের সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব নয়। বর্তমানে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে বেতন বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন তারা। 

দেলোয়ার হেসেন নামে একজন নৌযান মাস্টার জানান, বেতন পাই আগের স্কেলে। বর্তমান বাজার দরের সাথে তার মিল নেই। সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হয়। ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তারা।

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল বিভাগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মো. নজরুল ইসলাম জানান, নৌযান শ্রমিকরা সবচাইতে কম বেতনে চাকরি করে। এই বেতনে ডাল ভাত খেয়েও চলা যায় না। শ্রমিকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন বরিশাল বিভারে সভাপতি শেখ আবুল হাশেম জানান, সরকার এবং মালিকপক্ষ বারবার নৌযান শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও তাদের বেতন বাড়েনি। এ কারণে এবার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। 

এদিকে, নদীবেষ্টিত বরিশালে নৌযান বন্ধ থাকলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে আশঙ্কা যাত্রীদের। 

মেহেন্দীগঞ্জ থেকে বরিশালে আসা মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক নৌ যাত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে নদীবেষ্টিত এলাকার মানুষ লঞ্চে যাতায়াত করেন। লঞ্চ বন্ধ থাকলে চরাঞ্চলের মানুষ বিপাকে পড়বে।

ভোলা থেকে আসা অমল দেবনাথ জানান, এরকম ধর্মঘটে সবসময় সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়। এভাবে প্রতিনিয়ত মানুষকে কষ্ট দিয়ে অচালবস্থা সৃষ্টি করা কাম্য নয়।

নৌযান শ্রমিকদের দাবি অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস। নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি করলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তারা।

নিয়োগ পত্র ও পরিচয় পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান সহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ১০ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর