২৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৪০

রসিক নির্বাচনে বেকার যুবক ও নারীদের কদর বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রসিক নির্বাচনে বেকার যুবক ও নারীদের কদর বেড়েছে

রসিক নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু না হলেও কাউন্সিলর পদ প্রত্যাশীরা প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে নির্বাচন অফিস কর্তৃক এখন পর্যন্ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কোনো প্রার্থীকে সতর্ক কিংবা জরিমানা করা হয়নি।

তবে নির্বাচন অফিস বলছে, ৯ ডিসেম্বর দেয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ। সেই দিন থেকে কড়াকড়িভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখা হবে। এদিকে বেকার যুবক আর নারীদের বেশ কদর বেড়েছে। সেই সাথে সবজান্তা শ্রেণির ব্যক্তিরাও প্রার্থীদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় চাহিদা বেড়েছে তাদেরও।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও প্রচারণার মাঠ ধীরে ধীরে গরম হয়ে উঠছে। প্রথমে হাতেগোনা কর্মী নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসলেও প্রার্থীরা এখন সাধ্যমতো কর্মী নিয়োগের চেষ্টা করছেন। প্রথম দিক নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে আত্মীয়-স্বজনরা প্রচারণা চালালেও এখন পুরোদমে মাঠ গরম রাখতে কর্মী বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছে। যে কারণে বেকার যুবক ও নারীদের কদর বেড়েছে। কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রে বেকার ও নারীদের মূল্যায়ন অর্থের বিবেচনায় করা হয়। ফলে প্রার্থীদের নিজের লোকজন বিভিন্ন পাড়া মহল্লা থেকে যুবক ও নারীদের তালিকা করে দরদাম নিশ্চিত করে কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে।

বিভিন্ন জন গুরুত্বপূর্ণ বা ব্যস্ততম এলাকা, হাট বাজার, চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর কাজে বেকার যুবকদের কর্মী হিসেবে ব্যবহার করছে। শুধু বেকার যুবকই নয়, স্কুল কলেজপড়ুয়া ছাত্র, ছাত্রীদের প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে মহিলা কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে  কাউন্সিলর প্রার্থীর হ্যান্ডবিল। বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া ও হ্যান্ডবিল বিলি করায় নারী কর্মীদের শ্রম বেশি হয়। সে কারণে হাজিরা বেশি হলে নারী কর্মীরা গুরুত্ব সহকারে ভোট চায় এবং হাজিরা নাম মাত্র হলে হ্যান্ডবিল হাতে দিয়েই বলেন ভোটটা দিয়েন। ওই সকল বেকার যুবক বা নারী কর্মীদের মাধ্যমে ভোটের হিসাব না করলেও প্রার্থীরা তাদের নাম প্রচারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সাধারণত এই শ্রেণির ব্যক্তিরা চায়ের হোটেলে, পানের দোকনে, আড্ডাখানায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে প্রচারণা চালাচ্ছে। এছাড়া কিছু প্রার্থী নিজেদের পক্ষে ভোট নিতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া যুবতিদের প্রচারণায় ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে স্মার্ট মেয়েদের বিশেষ মূল্যায়ন করছে প্রার্থীরা।

মারুফ নামে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী বলেন, বাড়িতে বেকার বসে থাকার চেয়ে পছন্দের প্রার্থী কর্মী হিসেবে মাঠে কাজ করতে ভালই লাগছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর