রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (রাসিক) আওয়ামী লীগের প্রার্থীর যে কমিটি তার কোথাও রাখা হয়নি নগর সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে। তাকে বাদ দিয়েই হয়ে সব কমিটি।
তবে বিরোধ-সমালোচানা ভুলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপাড়া ও ফুদকিপাড়া এলাকার পথচারী ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিটনের পক্ষে প্রচারপত্র (লিফলেট) বিলি করেন। এ সময় ডাবলুর সঙ্গে তার অনুসারীরা ছিলেন।
বছরখানেক ধরে লিটনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক যাচ্ছিল না ডাবলু সরকারের। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে একাট্টা হয় ডাবলু বিরোধী শিবির। এরপর ডাবলুকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন লিটন অনুসারীরা। এরই মধ্যে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পাশাপাশি মনোনয়ন চান ডাবলু সরকার। এই ইস্যুকে ঘিরে দলের সব কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ডাবলু সরকারকে।
এতোদিন চুপ থাকলেও বুধবার থেকে মাঠে নামেন ডাবলু। লিটনের পক্ষে লিফলেট বিলি করার পর ডাবলু সরকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। এটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আমি কখনোই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করবো না। আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমাকে মেয়রের প্রচার-প্রচারণায় ডাকা হয়নি। তবে আমি আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নিজের অবস্থান থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আমাদের অভিভাবক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের জন্য কাজ করে যাবো। আমর সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন তার প্রতি থাকবে।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ