রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত নৌকার মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। আর কাকতলিয়ভাবে তারা দু’জনই নিজ নিজ দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। পাশাপাশি সম্পর্কে চাচা-ভাতিজাও। আজ তাই ভোটের লড়াই ভুলে গিয়ে চাচা-ভাতিজা কোলাকুলি করেছেন। তারা পরস্পর করেছেন কুশল বিনিময়ও।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন মহানগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালদা কলোনি এলাকায় থাকা আটকশি হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য বুধবার সকাল ১০টা বাজার ১০ মিনিট আগেই চলে আসেন। এ সময় ইভিএম-এ ভোট গ্রহণে ধীর গতির কারণে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখতে পান এবং এজন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তিনি সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ভোটদান করেন।
এর পরপরই সেখানে হাজির হন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়ের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি এ সময় জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনকে বুকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন। এরপর দুই মেয়র প্রার্থী কুশল বিনিময় করেন।ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে একে অপরকে আলিঙ্গন করায় নৌকা ও লাঙ্গলের প্রার্থীদের তাই সাধুবাদ জানান উপস্থিত ভোটাররা।
এ সময় ভোটের পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন লাঙ্গলের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ভোটারদের উপস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে এ সময় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন বলে জানান এবং ফলাফল যা-ই হোক মেনে নেবেন বলে সবার সামনে ঘোষণা দেন।
আর প্রতিপক্ষ খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কোলাকুলি প্রশ্নে সাইফুল ইসলাম হেসে উঠে বলেন, আমরা চাচা-ভাতিজা। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক নির্বাচনের আগে থেকেই অনেক ভালো। যদিও ভোটের মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দেব না। তবে ভোটের বাইরে আমাদের আগের সম্পর্ক আগের মতোই থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ