চার বছর আগে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া এলাকায় দুই বছরের শিশু আয়েশাকে তিন তলার বারান্দা থেকে ফেলে হত্যা মামলায় প্রতিবেশী জান্নাতুল ওয়াইন ওরফে নাহিদকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আসামির উপস্থিতিতে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রায় ঘোষণার সময় শিশুটির বাবা-মা আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির মা ও বাবা। রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস বলেন, আমার শিশুকন্যাকে হত্যাকারীর ফাঁসি চেয়েছিলাম। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে বাসায় গ্যাস না থাকায় বিকেলে কন্যা আয়েশাকে বাসায় রেখে তার মা পাশের বাসায় রান্না করতে যান। কিন্তু রান্না শেষে ফিরে আর মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। সন্ধ্যার পর আশপাশের মানুষের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে সেখানে ছুটে যান তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন, ময়লার ট্টলির পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তার মেয়ে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে গেণ্ডারিয়া থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণের পর তিনতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি। পরে নাহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাহিদের মেয়ে ফাতিহা খান বুশরা তার বাবার বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ১১ অক্টোবর পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে নাহিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক