বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, যক্ষা এক সময় ছিল আতঙ্কের নাম। সরকারের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের ফলে জনগণের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে এর অস্তিত্ব এখনো রয়ে গেছে। করোনার পরই সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার যক্ষা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের। সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে যক্ষা সম্পর্কে জনগণের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা।
আজ (শনিবার) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এন.টি.পি) এর নেতৃত্বে এবং স্টপ ঢিবি পার্টনারশীপ-ইউএনওপিএস-এর সহযোগিতায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ. ফ. ম. রুহুল হক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, যক্ষা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, যক্ষা নির্মূলে সংসদী ককাসের সদস্য সচিব আরমা দত্ত, ফখরুল ইমাম, পংকজ নাথ, মোছাঃ শামীমা আক্তার খানম, বাসন্তী চাকমা, লুৎফুন নেসা খান, ফেরদৌসী ইসলাম, আদিবা আনজুম মিতা, আরমা দত্ত, নার্গিস রহমান এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ সংসদ সদস্যগণ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর ছোবলে আক্রান্ত দেশ। ডেঙ্গু মুক্ত থাকতে হলে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। একই ভাবে যক্ষা সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ দেখা দিলে সাথে সাথে সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে রোগের পরীক্ষা ও আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আর সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব হলো যক্ষা নির্মূলে সবার ভাবনাগুলো সরকারের নিকট তুলে ধরা।
বিশেষ অতিথি ও জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফজালুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআর'বির সিনিয়র টিবি মিটিগেশন এন্ড কোর্ডিনেশন এডভাইজার ডা. আজহারুল ইসলাম খান এর সঞ্চালনায় আইসিডিডিআর`বি ও প্রিপ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল