রাজশাহীতে ভাতিজার হামলায় শরিফুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত শরিফুল রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী এলাকার মৃত মেছের আলীর ছেলে।
সোমবার সন্ধ্যায় শরিফুলের লাশ মহানগরীর টিকাপাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত শরিফুলের সঙ্গে তার ভাই শফিকুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। গত ২৩ আগস্ট দুপুরে শরিফুল জমিতে যান। এসময় তার ওপর হামলা চালান শফিকুলের স্ত্রী মিতা এবং তার ছেলে মোস্তাকিন ইসলাম। হামলার সময় সেখানে কেউ ছিলেন না। এ সুযোগে মোস্তাকিন তার চাচা শফিকুলকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটান। একাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার মা মিতা।
এক পর্যায়ে শরিফুলের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে মোস্তাকিন এবং তার মা মিতা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে শরিফুলকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর লাশ রাজশাহীতে আনা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় শরিফুলকে মহানগরীর টিকাপাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত শরিফুলের আরেক ভাই মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে টিপু সুলতান বলেন, আমাদের বাবারা চার ভাই। শরিফুল ছিলেন সবার ছোট। জমি নিয়ে বিরোধে তার উপর হামলা করা হয়। রডের আঘাতে তার পাজর ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি মারা গেলেন। তার দুই মেয়ে আছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ছিলেন।
এ ব্যাপারে মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, হামলার ঘটনার পরেই শরিফুল মামলা করেছিলেন। তিনি মারা যাওয়ায় এটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
ইতোমধ্যে হামলার ঘটনায় জড়িত মিতা নামের একজন নারীকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর নিহত শরিফুলের ভাতিজা মোস্তাকিনকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত