রাজধানীর খিলগাঁও বনশ্রী এলাকার একটি বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে শেখ মোস্তাফিজুর রহমান কাজল (৪৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত কাজল খুলনা সদর উপজেলার এমপি রোডের মৃত আব্দুল শেখের ছেলে। বর্তমানে দক্ষিণ বনশ্রীর ১৪ নম্বর রোডে একটি বাসার ছয়তলায় স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ওই ব্যক্তিকে স্বজনরা অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের স্ত্রীর দাবি, তিনি গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত শেখ মুস্তাফিজুর রহমান কাজলের স্ত্রী নাজনীন আক্তার মিলি জানান, তার স্বামী পেশায় ফ্রি-ল্যান্সার ছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তিনি নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। পাশাপাশি অনলাইনে জুয়া খেলা শুরু করেন। এরপর থেকে সংসারে কোনো খরচ দিতেন না। তবে আমার কাছে টাকা দাবি করতেন।
তিনি আরও জানান, আজকে দুপুরে এক হাজার টাকা চান তিনি। দিতে অস্বীকার করায় বাসায় থাকা কম্পিউটার বিক্রির জন্য বাইরে নিয়ে যেতে চান। এ সময় আমি এবং মেয়ে বাধা দেই এবং তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তিনি নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেকক্ষণ কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখা যায়, ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন। ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, স্বজনদের কাছে জানতে পেরেছি মৃত ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সে কাজ করতেন। পরে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি গলায় ফাঁস দেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ