রাজশাহীতে ৩৫টি মামলায় ৪১ শিশু-কিশোরকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। সোমবার রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন। এসব শিশু-কিশোররা ৬ মাস আগে প্রবেশনে জামিন পেয়েছিলেন। বিচারক জামিন দিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তার অধীনে বেশকিছু কাজের শর্ত দিয়েছিলেন। তারা নিজেদের বাড়িতে থেকে সেসব কাজ করেছে।
প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, এসব শিশু-কিশোরদের ৬-৭ মাস আগে প্রবেশনে জামিন দেওয়া হয়। এরপর গাছ লাগানো, মানুষের উপকার করা, মুক্তিযুদ্ধের বই পড়ার কাজ দিয়েছিলেন বিচারক। এই সময়ে তারা সেই কাজ ভালোভাবে করেছে। প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে তিনিও নজরদারিতে রেখেছিলেন। বাদী-বিবাদী দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির আওতায় এসব শিশু-কিশোররা শর্ত পালন করায় বিচারক তাদের মুক্তি দিলেন। আদালতে ৪১ শিশু-কিশোরের মধ্যে ৩০ জন উপস্থিত ছিল।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নাসরিন আখতার মিতা জানান, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন ও বহন, মারামারি, যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনার ৩৫টি মামলায় আসামি হয়েছিল ৪১ জন। তাদের প্রথমবারের মতো এমন অপরাধ হওয়ায় বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান প্রবেশনে তাদের মুক্তি দিয়েছিলেন। প্রবেশনকালীন তারা আদালতের দেওয়া শর্ত পালন করায় সোমবার বিচারক তাদের এসব মামলা থেকে মুক্তি দেন।জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিচারক নিজে মুক্তি পাওয়া শিশু-কিশোরদের হাতে জাতীয় পতাকা ও ফুল তুলে দেন। আগামীতে অপরাধে জড়িত না হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ভালো কাজে জড়িত হওয়ার পরামর্শ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই