শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ২৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। বাকিগুলোতে পুরোদমে উৎপাদন চলছে। সব কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকরা।
বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশেই সকালে শ্রমিক প্রবেশ করেছেন। তবে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এমন কারখানার সংখ্যা খুবই কম। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে নতুন করে কোনো কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে শ্রমিক অসন্তোষ চলাকালীন গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময় সর্বোচ্চ ৮৬টি পোশাক কারখানাকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং সাধারণ ছুটি দেওয়া হয় ১৩৩টিতে। যার মধ্যে এখনও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় বন্ধ ২০টি কারখানা আজও খোলা হয়নি। এছাড়া সাধারণ ছুটি রয়েছে আরও ৫টি কারখানায়। তবে বাকি সব পোশাক কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করে বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে বসে রয়েছেন। শ্রমিকরা মূলত সমস্যা সমাধান করতে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছেন। আবার কয়েকটিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় বন্ধ রয়েছে কয়েকটি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দিতে আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএ’র কাছে অনুরোধ করেছি। না হলে এই বন্ধ কারখানাগুলোকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, আজও শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে, যা গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া আরও ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। এসব কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার সামনে গিয়ে হইচই করেছেন শ্রমিকরা। কারখানা খুলে দিতে আমরা বিজিএমইএ ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি। এছাড়া শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল