বরিশাল নগরীতে বিএনপির শোক র্যালিতে হামলা হামলার অভিযোগে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, দুই সিটি মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বরিশালে ৯ শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকেও আসামি করা হয়েছে। রবিবার বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় এ মামলা করেন।
মামলার বাদী জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ জমা দেন। তখন ভুল ভ্রান্তি হওয়ায় থানা মামলা রুজু করেনি। পরে আদালতে শরনাপন্ন হন। আদালত তাকে থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন। এ সময় থানার ওসিকে তলব করে বিচারক মামলা রুজুর নির্দেশ দেন। এরপর গত ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় থানায় অভিযোগ জমা দেন বাদী জিয়াউদ্দিন সিকদার। থানা মামলা রুজু করেছে।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে রবিবার মামলা এজাহার হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করে প্রধান করা হয়েছে। এছাড়াও নামধারী আরো ৫০৩ ও অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার আসামিরা আওয়ামী লীগের ও এর অঙ্গসংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডার। প্রধান আসামি শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে সমগ্র বাংলাদেশকে একটি নৈরাজ্যের জনপদ ও ভয়াল উপত্যকায় পরিণত করে। তিনি স্বৈরশাসন কায়েম করতে বিরোধী মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দমন নিপীড়নের মাধ্যমে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করে। মামলার অন্যান্য আসামিরা বরিশাল নগরীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করে। জনমনে আতঙ্কের লক্ষ্যে নগরীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে ও অলিগলিতে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করে।
সাধারন মানুষ প্রধান আসামি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণের কোনো প্রতিবাদ করলেই অন্য আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। ঘটনার পূর্ব থেকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য ১নং আসামির হুকুমে অন্য আসামিরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ জুলাই নগরীর দুপুরে সিঅ্যান্ডবি সড়কে বিএনপির শোক র্যালি বের করে। ছাত্র-জনতাকে নিয়ে বের করা শোক র্যালি নস্যাৎ করতে শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা সশস্ত্র অবস্থায় বিস্ফোরক দ্রব্যে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা করে। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে পিস্তল, শর্টগান ও রিভলবার দিয়ে গুলি করে। পরে মামলার বাদীর কাছ থেকে লাইসেন্স করা পিস্তল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে (বাদী) ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকসহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে।
বিডি প্রতিদিন/এএ