বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে নারায়ণগঞ্জে চালু হয়েছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বিনা লাভের বাজার’। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে শহরের চাষাঢ়া কলেজ রোড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এই বাজার চালু করেন।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন এই বাজার চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথমদিন হিসেবে ছোট পরিসরে চালু হয়েছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে এই বাজার। সেই সাথে ক্রেতাদের মাঝেও ছিলো স্বস্তি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটিতে আকারভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকা, প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকা, প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ১১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, প্রতি পিস লেবু ৫ টাকা, বাতাবি লেবু ১০ টাকা, প্রতি আটি ডাটা শাক ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের যতটুকু প্রয়োজন তারা ততটুকুই ক্রয় করতে পারছেন। যা নিয়ে ভীষণ খুশি তারা।
বাজারটিতে পণ্য কিনতে আসা ইসরাফিল হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামে একজন গরীব মানুষের জন্য বর্তমানে বাজার করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাজারে এসে দেখলাম, যে পুঁইশাক বাজারে ৮০ টাকায় কিনতে হয় এখানে তা ৩০ টাকায় পাচ্ছি। পুঁইশাকের পাশাপাশি ডিম-মরিচ কিনলাম। সবকিছুরই দাম একেবারেই কম। শিক্ষার্থীরা ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ফারদিন শেখ বলেন, আজ (সোমবার) থেকে আমরা এই বাজার কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বাজার মনিটরিং সর্বশেষ বিনা লাভের বাজারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বাজার মনিটরিং করতে গেলেই অনেক ক্রেতা ক্ষোভ নিয়ে আমাদের বলেন, আমাদের কারণে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন এইসব কথা শুনে নিজের বিবেকে বাধা দেয়। এ থেকেই আমাদের ছোট্ট প্রয়াস। আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল