সাভারের আশুলিয়ায় বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়াসহ বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-টাঙ্গাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে অবরোধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল, বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়ক। এর প্রভাব পড়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও।
এদিকে অবরোধের মুখে মহাসড়কে আটকে পড়া যানবাহনের কারণে উভয় পাশে সৃষ্ট দীর্ঘ যানজটের কারণে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেবার অনুরোধ করলেও শ্রমিকরা তাদের অবস্থানে অনড়র থাকায় শিল্প পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন। গরম পানি ছিটিয়ে মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দেয় তাদের।
অন্দিযকে, বাইপাইল ত্রিমোড়ে অবরোধ করে রাখায় ঢাকামুখী ও উত্তরবঙ্গমুখী লেনে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তবে স্থানীয় রিকশা-অটোরিকশা বাইপাইল থেকে চন্দ্রাগামী লেনে চলাচল করতে পারছে। এতে রিকশা অটোরিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে জনগণকে। এছাড়া বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কও বাইপাইলমুখী লেন বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই দুটি সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রীদের। কেউ কেউ আবার আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন।
আশুলিয়া শিল্প-পুলিশ-১ এর এসপি মো. সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকরা ৩১ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ রাখায় সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করছে। তাই একটু পানি মেরে মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিগত কয়েক মাসের বেতন পরিশোধ না করে জেনারেশন নেক্সট কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ রেখেছেন। আমরা বিজিএমইএ, কলকারখানা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের তাদিগ দিয়েছি। বেতন পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল