বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত গার্মেন্টস কর্মী রাকিব বেপারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার জম্বদ্বীপ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
বানারীপাড়া উপজেলার ওসি মো. মোস্তফা জানান, বানারীপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বায়েজিদ উর রহমানের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা সিআইডির একটি দল কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর আবার দাফন করা হবে।
বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা রাকিব বেপারী (২৪) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক শ্রমিক ছিলেন। গত ২১ জুলাই ফতুল্লার পোস্ট অফিস এলাকার বাজার করতে বেরিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন। ওইদিন দুপুরে ফতুল্লার খানপুর হাসপাতালে গিয়ে ছেলে রাকিবের লাশ শনাক্ত করেন বাবা মোশারেফ হোসেন। ময়নাতদন্ত ছাড়া ওইদিন রাতেই বানারীপাড়ার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। গত ২২ জুলাই সকাল ১০টায় বাড়ির উঠানে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বায়েজিদ উর রহমানের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন, বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে কবর থেকে রাকিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রাকিবের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বায়েজিদ উর রহমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত রাকিব বেপারীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে তার মরদেহ পুনরায় দাফন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই