ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. ইসরাইল হাওলাদার বলেছেন, পুলিশের যে কাজ তা আইন দ্বারা নির্ধারিত। আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনের মধ্যে থেকে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। বিশেষ করে কোনো দাঙ্গা হলে তাতে কোন কোন ধাপ অনুসরণ করতে হবে তা আইনে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। এক্ষেত্রে প্রথমে সমবেত জনতার সঙ্গে আলোচনার কথা অনুসরণ করার কথা বলা আছে। যদি সেটি কাজ না করে তাহলে ধাপে ধাপে অন্যান্য পদক্ষেপের কথা বলা আছে। এর সর্বশেষ ধাপ হলো নিজের জীবন ও সম্পদ বা অন্যের জীবন ও সম্পদ আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষার জন্য পুরো মাত্রায় প্রতিরোধে যাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ সর্বশেষ ধাপটি সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতির ক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকার ৮নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পুলিশ রাষ্ট্রের জন্য, জনগণের জন্য, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনা করা রাজনীতিবিদদের কাজ। আর প্রশাসনের কাজ হলো আইনের মধ্য থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কল্যাণমূলক রাষ্ট্রনীতিগুলো বাস্তবায়ন করা।
তিনি আরও বলেন, রাজধানীর সব থানায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো কমিউনিটি এনগেজমেন্ট। আপনারা (জনগণ) কী চান, আপনাদের কী সমস্যা এবং এ সংক্রান্তে আপনাদের পরামর্শ কী- এর ভিত্তিতে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করতে চাই।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, শাহ আলী থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক নির্মূলের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যেন না চলে তার জন্য আমাদের ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে। আপনার (নগরবাসী) একটু ধৈর্য ধারণ করুন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। প্রত্যেক থানায় সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হচ্ছে, যাতে এলাকাভিত্তিক সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও শাহ আলী থানা এলাকার নাগরিকরা অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন