৩০ মে, ২০২০ ২০:০৪

অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক

অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ

পাশে দাঁড়ানো মানে শুধু অর্থ বা এাণ নিয়ে দাঁড়ানো নয়। চাইলে হতে পারে তা বিভিন্ন উপায়ে। হতে পারে বুদ্ধি দিয়ে, সৃজনশীল ধারণা দিয়ে অথবা পাশে আছি, থাকবো সে বিশ্বাস দিয়ে। এমনইভাবে করোনা সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করলো বাসাবো কদমতলার কিছু উদ্যমী তরুণ। তারা "আমাদের কদমতলা"র ব্যানারে চেষ্টা করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়াতে।

চলমান সংকটে আজ অধিকাংশ পরিবারই নানাভাবে সংকটাপন্ন। নিম্নবৃত্তদের ছুটতে হচ্ছে ত্রাণের পেছনে। তাদের কাছে প্রতিটি আগামীকাল অনিশ্চিত। মধ্যবৃত্তের সঞ্চয় এমন না যে তারা চাইলেই দীর্ঘদিন কাজ না করে চলতে পারবে। আবার তারা চাইলেই পারবে না ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ উদ্যোগে এক অভিনব হাত বাড়িয়ে দিতে এগিয়ে এসেছে ওই তরুণরা।

তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সবাইকে নিয়ে একসাথে বাঁচা। প্রয়োজন মতো সবার পাশে দাঁড়ানো। কখনো ত্রাণ নিয়ে, কখনো সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে, কখনো বা স্বাস্থ্য সেবার উপকরণ নিয়ে। তারা নিম্নবৃত্তের পাশে দাঁড়িয়েছে ত্রাণ নিয়ে আবার মধ্যবৃত্তের পাশে সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে। মধ্যবৃত্তের পাশে দাঁড়িয়েছে কিন্তু তাদের ত্রাণের লাইনে দাঁড় করিয়ে না। তাদের আত্মসম্মানবোধকে সামান্য স্পর্শ না করে বরং পূর্ণ সম্মান প্রর্দশন করে। 

তারা যে কাজটি করে তা হলো বিপণন ব্যবস্থাকে কাজে লাগানো। তাদের একটি দল প্রতিদিন খুব ভোরে সবজির আড়তে চলে যায় পাইকারি দামে সবজি কিনতে। পুরো এলাকার চাহিদা মাফিক সবজি কিনে তারা এলাকায় ফিরে। এলাকার একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "কদমতলা পূর্ব বাসাবো উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ"-এ সকাল ৯টায় তারা বাজার বসায়। সেখানে তারা তাদের সবজি কেনা দামে বিক্রি করে। এতে করে মধ্যস্বত্বভোগীদের যে লাভের অংশ তা ক্রেতাদের গুণতে হয় না। ফলস্বরূপ যা হচ্ছে তা হলো ক্রেতারা প্রতি কেজি সবজি খুচরা বাজার থেকে গড়ে ১০ থেকে ৩০ টাকা কমে কিনতে পারছে। এতে করে প্রতিদিন ক্রেতারা বেশ সাশ্রয় করতে পারছে, যা মাসের শেষে হিসাব করলে বেশ চোখে পড়ার মতো একটা অংক।
 
যাদের অবস্থা বেশি নড়বড়ে তাদের কাছে কেনা দামের থেকেও কম দামে বিক্রি করা হয়। এই সংকটকালীন সময়ে তাতে করে সবার জীবনযাপন কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে। এতে এলাকার প্রতিটি পরিবার উপকৃত হচ্ছে। এই উদ্যমী তরুণরা শুধু মাত্র সবজি নয়, ঈদের আগে তারা তাদের বাজারে ঈদের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন পোলাও চাল, সেমাই, চিনি, তেল, কোমল পানীয় ইত্যাদি খুচরা বাজার হতে অনেক কম মূল্যে বিক্রয় করেছে। বেঁচে থাকাটাই আজ যেখানে উৎসব সেখানে তাদের কল্যাণে অনেক পরিবার আজ শুধু বাঁচতেই না অন্তত ঈদের হাসিটাও হাসতে পারছে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক/মাসুদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর