২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৬:২২

ঢাকায় ডাচ দূতাবাসের দেয়াল চিত্র উন্মোচন

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকায় ডাচ দূতাবাসের দেয়াল চিত্র উন্মোচন

ইউরোপের উন্নত দেশ নেদারল্যান্ডস। ১৯৭২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দেশটির বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র দূরীকরণের পাশাপাশি সুশাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতি রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি নানা বিষয়ে বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে সহায়তা করে আসছে বন্ধুরাষ্ট্র নেদারল্যান্ডস। এসবকিছুর ধারাবাহিকতায় এবার ভিন্নধর্মী এক আয়োজন করেছে ঢাকায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাস। দুই দেশের সম্পৃক্ততা এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়গুলো প্রতিফলিত করে এমন সব বিষয়গুলোকে নিয়ে দূতাবাসের দেয়ালগুলোতে ম্যুরাল আঁকা (দেয়াল চিত্র) হয়েছে।

চিত্রশিল্পী ফারেহা জেবার নেতৃত্বে শিল্পীদের একটি দল দূতাবাসের দেয়ালে মোট সাতটি চিত্র এঁকেছেন। গতকাল বিকেলে কূটনৈতিক সম্প্রদায়, সাংবাদিক, শিল্পী এবং ডাচ দূতাবাসের শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুদের নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন ওই ম্যুরালগুলো উন্মোচন করেন। এর আগে দূতাবাসের বাগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, ম্যুরালগুলো কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন, আরএমজি-সেক্টর, লিঙ্গ সমত, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো প্রধান বিষয়গুলোতে আমাদের সহযোগিতাকে প্রদর্শন করছে। এই ম্যুরালগুলো আমাদের অংশীদারিত্বকেও প্রতিফলিত করে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে (১৬-১৭ জানুয়ারি) ফারেহা জেবার নেতৃত্বে একটি (সবাই) নারী শিল্পীদের দল দেয়ালে এঁকেছিলেন।

দলটির অন্য সদস্যরা হলেন জান্নাত কেয়া, সুরভী আখতার এবং সারিয়া সাগুয়ারো। নারীদের কণ্ঠস্বরকে আরও দৃশ্যমান করার জন্য আমরা সবাই নারী এমন শিল্পীদের দলকে নির্বাচন করেছিলাম যা নেদারল্যান্ডসের নারীবাদী পররাষ্ট্র নীতির প্রতিশ্রুতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়৷ এছাড়াও ঢাকার রাস্তায় নারীদের দৃশ্যমানতাকেও এগুলো উৎসাহিত করে কারণ চিত্রকর্মগুলো তাদের প্রতিফলন হিসেবেই কাজ করে।

একটি ছবি অনেক কথা বলে মন্তব্য করে ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি আমাদের কল্পনার জগতকে এমনভাবে ধারণ করে যা অন্যান্য যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলো করতে পারে না। তাছাড়া, আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, আমরা কেবল নিজেদের বার্তা ছড়িয়ে দিতেই ম্যুরাল ব্যবহার করিনি, আমরা আমাদের দেয়ালগুলোকে পাট দিয়ে আবৃত করেছি যেটি পরিবেশ বান্ধব পণ্য। বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট এবং এটি আমাদের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতারও প্রতীক।

চিত্রশিল্পী ফারেহা জেবা মানবজমিনকে জানান, দেয়াল চিত্রের পরিকল্পনা করতেই তাদের দুই মাস সময় লেগেছিল। আর ডাচ রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অনেকদূর এগিয়ে নিতে চাই।

ওদিকে, গতকাল ম্যুরালগুলো উন্মোচন করার আগে থেকেই বেশ কয়েকদিন ধরে এগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। উৎসুক জনতার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্যের সমঝদার মানুষের মধ্যেও দূতাবাসের ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর