শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

বঙ্গমাতার জায়গা দখল করে ছাত্রলীগের বাণিজ্য

বঙ্গমাতার জায়গা দখল করে ছাত্রলীগের বাণিজ্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব নামে একমাত্র ছাত্রী হলের জায়গা দখল করেছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। একই সঙ্গে নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে সেখানে শীতবস্ত্রের বাণিজ্য শুরু করেছেন তারা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে এত কিছুর পরও নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাবাজারে অবস্থিত বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ছাত্রী হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চলতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি ইটও গাঁথুনির কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। একাধিক শিক্ষার্থী দুঃখ করে বলেন, ‘আমরা শুধু রাজনীতির হাতিয়ার হই। কিন্তু আমাদের প্রাপ্য অধিকার কখনো আদায় হবে না।’ অভিযোগ পাওয়া যায়, সোমবার বঙ্গমাতা নামের হলটির নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে উপাচার্যের যোগসাজশে জবি ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইউনুস নামে এক ব্যবসায়ীকে জায়গাটির লিজ দিয়েছেন। ওই স্থানে লিজ নেওয়ার পরদিন থেকে শীতবস্ত্রের একাধিক দোকান বসানো হয়েছে। আর শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান আগুন ও তানভীর রহমান খান প্রতিটি দোকান থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা তোলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছাত্রী হলের জায়গা দখল করে কাপড়ের দোকান বসানো কখনই কাম্য হতে পারে না। আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীরা এর সঙ্গে জড়িত বলে আমি মনে করি না।’ এ ব্যাপারে জবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সজীব বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষার্থীদের আবেগ কাজে লাগিয়ে হলের জায়গা-জমি ব্যবহার করে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা একে পোক্ত করার জন্য শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। জবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, ‘এ কাজ ছাত্রলীগের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা যায়। এখানে প্রশাসনের কিছু ভূমিকা রাখার প্রয়োজন ছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব।’ অভিযোগ অস্বীকার করে জবি ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘যিনি জায়গাটি নিয়েছেন তাকে আমরা চিনি না। আর সেখান থেকে কাপড়ের সব দোকান সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর