শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে মিনারেলের নামে অপরিশোধিত পানি

জনস্বাস্থ্য চরম হুমকিতে

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে চলছে মিনারেল ওয়াটারের নামে জেনারেল ওয়াটারের রমরমা বাণিজ্য। ফলে টাকা দিয়েই অপরিশোধিত পানি কিনছেন ক্রেতারা। প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা। সৃষ্টি হচ্ছে ডায়রিয়া-জন্ডিসসহ পানি বাহিত নানা রোগ। চরম হুমকিতে জনস্বাস্থ্য। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ভোক্তাদের অভিযোগ, কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী কোনো প্রকারের পরিশোধন ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ওয়াসার লাইন বা গভীর নলকূপ থেকে পানি সরাসরি জারে বা বোতলে ভরে ‘মিনারেল ওয়াটার’ নামে বাজারজাত করছে। এখানে তোয়াক্কা করা হয় না পানি বাজারজাতে বিএসটিআইর ১৯টি অত্যাবশ্যকীয় শর্তের। পক্ষান্তরে মাঠ পর্যায়ে এ সমস্ত শর্ত মানছে কিনা তাও নজরদারি নেই। জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান ও মামলা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।   

জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। কিন্তু ওয়াসার উৎপাদন ১৮ কোটি লিটার। পানির এ ঘাটতিকে পুঁজি করে বাণিজ্যে নেমেছে অসাধু একটি চক্র। বর্তমানে নগরে ১৫০টির বেশি মিনারেল ওয়াটার উৎপাদন প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু এর মধ্যে বিএসটিআই নিবন্ধন আছে ৫৫টির। তাছাড়া ১২টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন, ১৫টি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। কিন্তু ৬৮টি প্রতিষ্ঠান কোনো আবেদনই করেনি। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, পানির মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য নিয়ে এমন   প্রতারণা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে পরিস্থিতি এত ভয়াবহ হত না।

বিএসটিআইর চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কে এম হানিফ বলেন, প্রতিনিয়ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। গত সপ্তাহেও অভিযানে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়েছে। চিটাগাং ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এ এস এম ইসমাইল খান বলেন, অনেকেই যাচ্ছেতাই ভাবে পানি বোতলজাত করে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা করছে। পানি নিয়ে কেউ বাণিজ্য করুক তা আমরাও চাই না।

সর্বশেষ খবর