প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রাউজান পৌরসভায় অবশেষে আওয়ামী লীগ ও দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ‘সমঝোতা’ হয়েছে। দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে প্রচারণায় মাঠে নামছেন সব নেতা-কর্মী। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউসে এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারাসহ স্থানীয় এমপি ফজলে করিমের উপস্থিতে এ ‘সমঝোতা’ হয়। এদিকে, স্থানীয় এমপির নেতৃত্বে রাউজানের সব নেতা-কর্মী দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নামছেন বলে জানা যায়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ সালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এ সময় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাবেন তারা। সীতাকুণ্ডের বিষয়েও দলীয় নির্দেশনা রয়েছে। রাউজানের আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেবাশীষ পালিত জানান, সমঝোতার পর এক সঙ্গে সবাই কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ‘সমঝোতার’ কথা স্বীকার করে রাউজানের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা বলেন, ৯টি ওয়ার্ডেই গণসংযোগ করেছি। স্থানীয় ভোটাররাও আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু বাবার (উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী) রাজনীতির প্রতি সম্মান রেখে প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ালাম। আগামী দিনে সবার মাঝে থেকে সেবা করার অঙ্গীকার করছি। জানা যায়, রাউজান থেকে দলের মনোনীত প্রার্থী দেবাশীষ পালিত ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানার মধ্যে ‘সমঝোতা’র উদ্যোগ নেন স্থানীয় এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী।