বুধবার, ১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

শীর্ষ নেতাদের নিষ্ক্রিয়তায় ভোট কষ্ট আওয়ামী লীগের

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

শীর্ষ নেতাদের নিষ্ক্রিয়তায় ভোট কষ্ট আওয়ামী লীগের

সিলেটে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিষ্ক্রিয়তায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আশানুরূপ ফল ঘরে তুলতে পারেনি ক্ষমতাসীন দলটি। সর্বশেষ শনিবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনেও ভালো করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। দুই উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ৫টিতে জয় পেয়েছে দলটি। পাঁচ ধাপের ইউপি নির্বাচনে সিলেটে আওয়ামী লীগ যতটা সফলতা পেয়েছে তার পেছনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর অবদানকে বড় করে দেখছেন দলের নেতা-কর্মীরা। শফিক চৌধুরীর মতো বাকি নেতারা নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় থাকলে এ জেলায় ইউপি নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগের অনুকূলেই থাকত বলে মনে করছেন তারা।

গত শনিবার সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ৬ ও ওসমানীনগরের ৮ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ১৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৫টিতে, বিএনপি ৫টিতে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন ৩টিতে। অন্য ইউপিতে বিএনপির এক বিদ্রোহী জয়ী হয়েছেন। পাঁচ ধাপের ইউপি নির্বাচন মিলিয়ে সিলেটে ৭৪টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২৪টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। অন্যদিকে ২১টি ইউপিতে বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি ২৯টি ইউনিয়নের মধ্যে দু-একটি ছাড়া সব কটিতেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেসব ইউপিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে সেগুলোয় সাফল্যের পেছনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুত্ফুর রহমান বার্ধক্যের কারণে ইউপি নির্বাচনের প্রচারণায় ছিলেন নিষ্ক্রিয়। দলটির জেলার সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ প্রথম ধাপে নিজের এলাকা সদর উপজেলার ৮টি ইউপি নির্বাচনে সক্রিয় ছিলেন। আরেক সহ-সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদও নিজের এলাকা জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার ইউপিগুলোয় সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু এ দুই সহ-সভাপতিকে নিজেদের এলাকার বাইরে কোথাও খুব বেশি প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে, সিলেটের বেশির ভাগ ইউনিয়নে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা। নেতাদের গোপন মদদের কারণে দলীয় প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর