রূপগঞ্জে রংধনু গ্রুপ ও কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল বিকালে উপজেলার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্ব রোডে (৩০০ ফিট) এ কর্মসূচি পালিত হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায় কেন্দ্র করে কাঞ্চন-কুড়িল সড়কে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সুমন মিয়া পুলিশের গুলিতে মারা যান। এ ঘটনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রংধনু গ্রুপ ও কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, যুবলীগের আবদুল আউয়াল, সালাউদ্দিন মেম্বার, বায়জিদ সাউদ, ছাত্রলীগ নেতা মাসুম চৌধুরী অপুসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বাশার টুকু, রূপগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবু হোসেন ভুইয়া রানু, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার, ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাফিজুর রহমান সজিব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক ভুইয়া, রূপগঞ্জ কৃষক লীগের সভাপতি আরাফাত আলী, হকার্স লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম বঙ্গবাসী, যুবলীগ নেতা হুমায়ন কবির, আজিজুল মালুম, আবদুস সাত্তার, দাউদপুর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, সফিকুল ইসলাম, স্বপন মিয়া, মাসুদা বেগম, জেসমিন আক্তার; আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ, শফিকুল ইসলাম খান, ছাত্রলীগ নেতা লুতফর রহমান মুন্না, আশিকুল ইসলাম খোকন, মনির হোসেন, পারভেজ প্রমুখ।
স্থানীয় কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও মহিলা নেত্রী এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিকসহ সব নেতা-কর্মীর মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে সারা রূপগঞ্জে সড়ক-মহাসড়কে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে। প্রয়োজনে রূপগঞ্জবাসীকে নিয়ে রাস্তাঘাট আরোধ করে অচল করে দেওয়া হবে।’
