বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিমসটেক সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী

পানি সম্পদের সৌহার্দ্যপূর্ণ অংশীদারিত্বই সহযোগিতার সোনালি চাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, পানি সম্পদের সৌহার্দ্যপূর্ণ অংশীদারিত্ব ও সামষ্টিক ব্যবহারই আঞ্চলিক সহযোগিতার সোনালি চাবি। বঙ্গোপসাগরের তীরে দুঃখের পানিকে আশার পানিতে পরিণত করার এখনই সময়। গতকাল ভারতের সিকিম প্রদেশের গ্যাংটকে ‘ইন্টিগ্রেটিং বিমসটেক ২০১৮’ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বিমসটেককে আরও সংহত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী ভীম প্রসাদ ধাঙ্গেল।

এশিয়ার এ অংশের অভিন্ন নদ-নদীর পানির সুষম বণ্টনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গোপসাগরের অববাহিকাজুড়ে সহস্রাধিক নদ-নদী প্রবাহিত।

 এসব নদ-নদী আমাদের সম্পদ হলেও প্রায়শই দুঃখের কারণ ঘটায়। আর এখন দুই দশকে পরিণত হয়ে ওঠা ‘বিমসটেক’ সহযোগিতায় সেই ‘দুঃখের পানি’কে ‘আশার পানি’তে পরিণত করার সময় এসেছে। তিনি বলেন, জোরালো আঞ্চলিক সহযোগিতাই বিশ্বায়নের যুগে টিকে থাকার হাতিয়ার। তাই প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতে শেখাই উত্তম। তথ্যমন্ত্রী সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ বা ‘প্রতিবেশী প্রথম’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ বা ‘পূর্বে কাজ কর’-এর ওপর দৃষ্টি দিয়ে বিমসটেককে নিছক নীতি-চালিত আঞ্চলিক সহযোগিতার সংগঠনের বদলে একে বাজার চালিত ও গণমুখী সংগঠনে পরিণত করা, সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান এবং সহযোগিতার খাতিরে জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়াদি দূরে সরিয়ে রাখাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, বহুমুখী পরিবহন করিডোরের মাধ্যমে সহজ ট্রাফিক ব্যবস্থা ও উদার ভিসা পদ্ধতি গড়ে বিমসটেকের ওপর এ অঞ্চলের জনগণের আস্থা সৃষ্টি, সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত সফটওয়্যার ও টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলো কর্তৃক সামষ্টিকভাবে পানি সম্পদকে কাজে লাগাতে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) মেগা প্রকল্প গ্রহণ। যা সহযোগিতার দ্বার উন্মোচনের সোনালি চাবি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু এখন এশিয়ার দিকে ধাবিত এবং আমাদের অঞ্চলের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে। আর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অনন্য সহযোগিতার সংগঠন বিমসটেক এর সুফল উঠাতে প্রস্তুত।’

উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আইসিসির অ্যাক্ট ইস্ট কাউন্সিল চেয়ারম্যান রজত নাগ। বক্তব্য রাখেন বিমসটেক সচিবালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, আইবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমাদ, শ্রীলঙ্কার প্রফেসর ইমেরিটাস ড. গামিনী কিরাওয়েলা এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পীযূষ শ্রীবান্তব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর