বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

বৈধভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গণতান্ত্রিক ভিত্তি সর্বজনবিদিত। সম্পূর্ণ বৈধ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ আয়োজিত ‘মুজিবনগর সরকার, প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ হয়েছিল।

সম্পূর্ণ বৈধ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে এ সরকার গঠিত হয়েছিল, যা পরে ‘মুজিবনগর’ নামে পরিচিত হয়েছে। সেই সরকারে এ দেশের জনপ্রতিনিধিদের সমর্থনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সম্পূর্ণ বৈধ ও গণতান্ত্রিক পন্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেদিন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। সেখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক করা হয়। ৯ মাসব্যাপী যুদ্ধের মূল প্রেরণাশক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এই মুজিব সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয়েছে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ। আলোচনায় অংশ নেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সচিব ওয়ালিউল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এমপি প্রমুখ। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব।

সর্বশেষ খবর