শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

দল চাঙ্গায় নতুন কমিটি চান কর্মীরা

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

দল চাঙ্গায় নতুন কমিটি চান কর্মীরা

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিষ্ক্রিয় ইউনিটগুলোয় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা রয়েছে। দলের এমন সিদ্ধান্তে সিলেটেও উঠেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সুর। নেতা-কর্মীরাও চান প্রায় পাঁচ বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি। এতে দল আরও চাঙ্গা হবে বলে মনে করেন তারা।

জানা গেছে, ২০১১ সালে গঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৪ সালে। এরপর প্রায় পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সম্মেলনের। দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্বে পরিবর্তন না আসায় স্থবিরতা এসেছে তৃণমূলে। জেলা আওয়ামী লীগের আওতাধীন ১৩ উপজেলা কমিটির মধ্যে শুধু বিশ^নাথে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। বাকি ১২ উপজেলা কমিটি চলছে দু-তিন জন দিয়ে। কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলেও সম্ভব হয়নি পূর্ণাঙ্গ করা। আর বেশির ভাগ উপজেলায়ই দায়িত্বে আছেন বর্ষীয়ান নেতারা। জেলার মতো অবস্থা মহানগরেরও। ২৭ ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতে কমিটি নেই। যেগুলোয় কমিটি আছে সেগুলোও মেয়াদোত্তীর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় পদবঞ্চিত নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। এখন তারা বেশি ব্যস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য ও পেশা নিয়ে। ফলে সাংগঠনিক কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

নেতা-কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এখন কেবল বিভিন্ন দিবসের আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল আর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে বা সরকারের উন্নয়ন প্রচারে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগকে। মাঝেমধ্যে কেন্দ্র-ঘোষিত যেসব কর্মসূচি পালিত হয় সেগুলোতেও বেশির ভাগ নেতাই থাকেন অনুপস্থিত। নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার ফলে কর্মীরাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন রাজনীতিতে। দলকে সুসংগঠিত ও চাঙ্গা করতে নতুন কমিটি গঠনের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, দল ক্ষমতায় থাকায় অনেক নেতা রাজনীতিতে সময় না দিয়ে অর্থ উপার্জনে বেশি ব্যস্ত। তাদের কারণেই কেন্দ্রের কাছে সিলেটের দলীয় সাংগঠনিক কাঠামোর দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। গত জাতীয় সংসদ, উপজেলা ও সিটি নির্বাচনেও অনেক নেতা দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। তাই আগামীতে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের দিয়ে কমিটি গঠন ছাড়া দলকে চাঙ্গা করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তারা। এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দলকে আরও সুসংগঠিত করতে কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। রমজানের আগেই হয়তো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সিলেটে আসতে পারেন। তারা সরাসরি নির্দেশনা দেবেন। সে নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। এ ছাড়া কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের তারিখ দেওয়া হলে প্রস্তুতি শুরু করে দেব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর