শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

চিরনিদ্রায় শায়িত অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা বেগম। গতকাল ভোর সাড়ে ৫টায় টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তার লাশ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে লাশ তার রাজধানীর মহানগর প্রজেক্টের বাসভবনে নেওয়া হয়। তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা প্রিয় মানুষকে হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর সকাল ১০টায় মগবাজার নয়াটোলা জামে মসজিদে তার প্রথম জানাজা, বেলা ১২টায় মগবাজার ওয়্যারলেস জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা ও বাদ জোহর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। একটি সুসজ্জিত পুলিশ দল মরহুমাকে ফিউনারেল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। এরপর মরহুমাকে আজিমপুর কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। জানাজায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা অংশ নেন।

পুলিশের পতাকা মোড়ানো মরহুমার কফিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতর, র‌্যাব, পিবিআই, সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সপ্তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচ, বিসিএস ’৮৫ ফোরামসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

রাজারবাগে তৃতীয় জানাজার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা বেগমের মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সারা জীবন এই পুলিশ কর্মকর্তা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। অনেক পরিশ্রম করে আজকের পজিশনে এসেছিলেন। তিনি যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, তাতে আরও ভালো পজিশনে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তার অকালে চলে যাওয়া পুলিশের জন্য তো বটেই, দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’

সপ্তম বিসিএসের সহকর্মী র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘একসঙ্গে পুলিশে যোগদান করেছি। ট্রেনিং করেছি, অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি কখনো অসততার আশ্রয় নেননি। নিষ্ঠার সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তাকে দেখে উদীয়মান, মেধাবী অনেক ছাত্রী বিসিএস দিয়ে পুলিশে আসার স্বপ্ন দেখেছে। তার অকালমৃত্যু সত্যি অপূরণীয়।’

প্রসঙ্গত, ৫ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শান্তিরক্ষা মিশন পরিদর্শনকালে কঙ্গোর কিনসাসায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান অতিরিক্ত আইজিপি রৌশন আরা বেগম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর