সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

তানিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে বন্ধু ফরহাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

তানিয়াকে গলাটিপে হত্যা করে বন্ধু ফরহাদ

রাজধানীর ভাটারা এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের পর তার এক ছেলে বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ফরহাদ চার দিন আগে তানিয়া বেগম (২৭) নামে ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল বিকালে বারিধারা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, শনিবার দুপুরে ভাটারার ছোলমাইদ বসুমতি পূর্বপাড়ার মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে তোষকে পেঁচানো অবস্থায় তানিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে গত এপ্রিলে ওই বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় ফরহাদকে স্বামী পরিচয় দিয়ে তার মোবাইল নম্বর বাড়িওয়ালাকে দিয়েছিলেন তানিয়া। এই মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে ফরহাদকে গ্রেফতারের পর তানিয়ার পরিচয় জানা যায়। ফরহাদই তানিয়াকে গলাটিপে হত্যার পর তোষকে পেঁচিয়ে রেখেছিল বলে স্বীকার করেছেন। তানিয়ার শ্বশুরবাড়ি শরীয়তপুরের কালকিনিতে। প্রায় সাত মাস আগে স্বামী ও সাত বছরের এক মেয়েকে রেখে তিনি চলে আসেন ঢাকায়।

তানিয়ার স্বামীর এলাকায় প্রসাধনীর দোকান রয়েছে। শ্যালকের কাছে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েছেন বলে তিনি জানান। তানিয়ার স্বামী শাহ আলাম জানান, ও চলে যাওয়ার পর ফোন করলে বিরক্ত হত এবং কোথায় থাকত সেটা সে কখনোই বলত না। তানিয়ার বাবা চাঁন মিয়া জানান, বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তানিয়া কী করত কেউ জানত না। যোগাযোগও ছিল না।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ পুলিশকে জানিয়েছে, তানিয়া তার ফেসবুক বন্ধু। সাথী নামে এক মহিলার মাধ্যমে তানিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং মাঝে মধ্যে ফরহাদ ওই বাসায় গিয়ে থাকত। তাছাড়া আরও অনেক ছেলে বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তানিয়ার। ফরহাদ একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

পরিচয়ের ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে ফরহাদের কাছ থেকে তানিয়া বিভিন্নভাবে ১ লাখ টাকা নেয় এবং আরও টাকা দাবি করে। একই সঙ্গে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু ফরহাদ তাকে আর টাকা দিতে এবং বিয়ে করতে অস্বীকার করলে তানিয়া ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এরই জের ধরে ফরহাদ তানিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২২ মে রাতে তানিয়ার বাসায় যান ফরহাদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী কথা বলার এক পর্যায়ে রাত ১২টার পর সে তানিয়াকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যান।

সর্বশেষ খবর