শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঈদ বলে কথা...

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ বলে কথা...

ঘরে ঘরে এখন ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্ক। এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। পাঁচ দিন বাদেই অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতরের আগে ঈদের কেনাকাটা ঘিরে নগরবাসীর মধ্যে যে ব্যস্ততা দেখা যায় এ ঈদে তেমনটা অবশ্য দেখা যায় না। এ ঈদে পুরুষদের মূল ব্যস্ততা থাকে কোরবানির পশুকে ঘিরে। আর নারীদের ব্যস্ততা রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ ও ব্লেন্ডার ইত্যাদি ইলেকট্রনিক্স পণ্য নিয়ে। যদিও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে মসলা সামগ্রীর দোকান এবং ছুরি-বঁটির দোকানে মানুষের ভিড় কিছুটা দেখা যাচ্ছে। ঈদে নতুন পোশাক কেনার ব্যাপারে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আগ্রহও দেখা যাচ্ছে। ঈদ বলে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানেও আনা হয়েছে নতুন ঈদ কালেকশন। ঈদে ঢাকাবাসীর কেনাকাটার সবচেয়ে বেশি ক্রেতার সমাগম হয় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে। গতকাল ঈদ বাজারে কেনাকাটার আমেজ পাওয়া যায় এ শপিং মলটিতে। দোকানগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় না থাকলেও সাধারণ দিনের চেয়ে ভিড় ছিল কিছুটা বেশি। দোকানিরা জানান, রোজার ঈদের মতো জমজমাট বেচাবিক্রি না হলেও কোরবানির ঈদেও ক্রেতারা কেনাকাটা করেন।

দেশি দশ-এর দেশাল, সাদাকালো ও রঙ-এর মতো বুটিক হাউসগুলো এরই মধ্যে ঈদ পোশাকের কালেকশন নিয়ে এসেছে। বসুন্ধরা সিটির শাড়ি, পাঞ্জাবি ও ভারতীয় সালোয়ার-কামিজের দোকানেও ছিল কমবেশি ভিড়। 

রাজধানীর আরেকটি বৃহৎ শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্কে সাধারণ সময়ের তুলনায় গতকাল ভিড় একটু বেশিই ছিল। ঈদে যারা গ্রামের বাড়ি যাবেন তাদের অনেকেই ঈদের কেনাকাটা সারতে এসেছিলেন। এখানকান ইনফিনিটির শো-রুমে একসঙ্গে জামা, জুতা, ব্যাগ, শাড়ি, পাঞ্জাবি ও কসমেটিক্সের বিশাল সংগ্রহ। বনশ্রী থেকে তানভীন-হাসান দম্পতি এসেছিলেন ঈদ শপিং করতে। গত রোজার ঈদের পরেই বিয়ে হয় এ দম্পতির। নিজেদের ঈদের জামাকাপড় ছাড়াও তারা শ্বশুর-শাশুড়ি ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ঈদের উপহার কিনছিলেন। তানভীন বলেন, ‘শ্বশুরবাড়িতে প্রথম ঈদ। স্বাভাবিকভাবেই আত্মীয়দের ঈদ উপহার দিতে হবে।

বিপণিবিতান ছাড়াও ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ধানমন্ডি, মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের তৈরি করা শাড়ি, বিছানার চাদর, থ্রি-পিস, ব্যাগ, গহনা ইত্যাদির পসরা এসব ঈদ মেলায় প্রদর্শন করছেন।

রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বরের আড়ং, লা-রিভ, মিরপুর এগারো নম্বরে সেইলরের শো-রুমে ঈদ উপলক্ষে নতুন কালেকশন ডিসপ্লে সাজানো হয়েছে। আড়ংয়ের শো-রুমে গতকাল গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতাদের বেশিরভাগই ঈদের কানাকেটা করছেন। পল্লবী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা হোসনে আরা দুপুরে দুই সন্তানের ঈদের পোশাক কিনতে এসেছিলেন। কথা হলে হোসনে আরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কোরবানির ঈদে শুধু সন্তানদের জন্যই কেনাকাটা করি। মুচকি হেসে আরও বলেন, ‘ছোটদের নতুন পোশাক কিনে না দিলে তো  হয়তো অভিমান করবে।’ আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মীরা জানান, আবহাওয়ার কারণে ক্রেতার ঝোঁক এবার সুতির আরামদায়ক পোশাকের দিকে। তারা আরও জানান, ক্রেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই তরুণ-তরুণী। লা-রিভের বিশাল শো-রুমে গিয়ে দেখা যায়, ছোট শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী ক্রেতার জন্য তৈরি করা ঈদ কালেকশনের পোশাকগুলো থরে থরে সাজানো।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর