আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবাই পরিচ্ছন্ন, মাদক ও দখলমুক্ত ওয়ার্ড করতে চান। এসব কাজ করে তারা ওয়ার্ডটিকে মডেল হিসেবে গড়তে চান। ১২ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন (তিতু), মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হানিফ, ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. মুরাদ হোসেন, একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আমিন শিকদার স্বপন ও ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামছুন নাহার (লাভলী)। এ ছাড়া গতবারের বিএনপি প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা বাবুল আকতার, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রাশেদ ইমাম স্বাধীনের নামও শোনা যাচ্ছে। মিরপুর ১ নম্বর সেকশন থেকে দক্ষিণ বিশিল, টোলারবাগ, পূর্ব ও পশ্চিম আহাম¥দনগর, পাইকপাড়া, শাহ-আলীবাগ, জোনাকি রোড, কলওয়ালাপাড়া, জনতা হাউজিং ও এর আশপাশের এলাকা নিয়ে ডিএনসিসির ১২ নং ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডে রয়েছে নানা ধরনের সমস্যা। কিছু দিন আগে সংস্কার হওয়া শাহ আলীবাগ, ছালেমউদ্দিন মার্কেট এলাকা, আহাম্মদনগর ও পাইকপাড়া এলাকায় নিম্নমানের সংস্কার কাজ হওয়ায় ম্যানহোলের চার পাশে কিছুটা দেবে গেছে। এ ছাড়া অলি-গলির সড়কগুলো গর্তবহুল হওয়ায় রিকশা ও প্রাইভেট গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ওয়ার্ডে আগের চেয়ে মাদকসেবীর সংখ্যা কমেছে। মশার উৎপাত কমেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে আগের মতো বখাটেদের উৎপাত দেখা যায় না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। মহল্লা থেকে কিশোর ও যুবকদের জন্য আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প চালু হওয়ায় বেকারত্ব কিছুটা কমেছে। জনতা হাউজিং, দক্ষিণ বিশিল, জোনাকি রোড এলাকায় এখনো অপ্রশস্ত সড়ক রয়েছে। এসব এলাকায় জায়গা না ছেড়ে রাজউকের নকশাবহির্ভূত হাইরাইজড বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে। গৃহস্থালির বর্জ্য ও ময়লার জন্য প্রতি মাসে টাকা আদায় হলেও নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার হয় না বলে জানান স্থানীয়রা। বর্তমান কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন তিতু বলেন, গত পাঁচ বছরে এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন করেছি। ওয়ার্ডের ৮০ ভাগ সড়কের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছি। পানি নিষ্কাশনের জন্য নতুন স্যুয়ারেজ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা দূর করতে সক্ষম হয়েছি। মাদক ও এডিস মশা নির্মূল করেছি। সন্ত্রাস, মাদক ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করেছি। আবার নির্বাচিত হলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। এস এম হানিফ বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এ ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব। মুক্তিযোদ্ধা মো. মুরাদ হোসেন বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সবার আগে সন্ত্রাস দমন করব। সামছুন নাহার (লাভলী) বলেন, নারী শিক্ষার প্রসার করব। বেকার নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। বাবুল আকতার বলেন, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সবাইকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব। নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি নির্মূল করে একটি আদর্শ ওয়ার্ড উপহার দেব।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
- ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ বাটলারের
- মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দ্রুত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
- উলভসের হল অব ফেমে জায়গা পেলেন জটা
- চূড়ান্ত সংগ্রামের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারেক রহমান : রিজভী
- শ্রোতাদের জন্য হাবিবের নতুন গান ‘দিলানা’
- কোটি মানুষের একটাই দাবি—ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া : মঈন খান
- পঞ্চগড়ে বিএনপির মৌন মিছিল
- ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ
- কাপ্তাই হ্রদের উন্নয়নে দুই উপদেষ্টার মতবিনিময়
- সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল : মির্জা আব্বাস
- চলতি মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের : সালাহউদ্দিন
- সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু
- মার্কিন কূটনীতিকদের বিদেশি নির্বাচন নিয়ে মতামত না দিতে নির্দেশ
- বাফুফের ফুটসাল ট্রায়াল শুরু রবিবার
- গোপালগঞ্জে কারফিউয়ের সময় আরও বাড়ল