বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

শ্রমিকদের বেতনের জন্য সুদমুক্ত ঋণ চান বস্ত্রশিল্প মালিকরা

প্রধানমন্ত্রীকে চার প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের

রুহুল আমিন রাসেল

করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন বস্ত্রশিল্প মালিকরা। প্রস্তাবে বলা হয়, আগামী ছয় মাস শ্রমিকদের বেতন ও দুই ঈদের বোনাস প্রদানে সুদমুক্ত ঋণ দিতে হবে। কারখানাগুলোর জন্য ছয় মাসের অর্থ খরচের তহবিল গঠন করে ঋণ দিতে হবে। এই ঋণ ৩৬ মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। এর সঙ্গে ছয় মাসের গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল ১২ মাসের কিস্তিতে প্রদানের সুবিধা দিতে হবে। পাশাপাশি প্রচলিত নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই চার প্রস্তাব তুলে ধরতে গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমাদ কায়কাউসকে পত্র দিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে টেক্সটাইল মিলগুলো চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। বস্ত্রমালিকরা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ফলে কাঁচামাল আমদানি, শ্রমিকদের বেতন ও ঈদের বোনাস প্রদান, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ সম্ভব নাও হতে পারে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চারটি প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করছি ইতিবাচক সাড়া পাব। ওই পত্রে বলা হয়, বিগত এক মাসের মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান পোশাকের রপ্তানি আদেশ বাতিল বা স্থগিত করায় পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে এসেছে। ফলে মিলগুলো মারাত্মক বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে। এর ফলে মিল চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পের সুতা ও কাপড়ের সিংহভাগ সরবরাহকারী মিলগুলো বিটিএমএর সদস্য। করোনাভাইরাসের প্রভাব টেক্সটাইল খাতের ব্যাক-ওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিতেও পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া গেলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী ৬ থেকে ৯ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। তবে এ সময়ের মধ্যে আর্থিক সংকটের কারণে মিলগুলোর পক্ষে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি, শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন, মজুরি ও আগামী দুই ঈদের বোনাস প্রদান করা সম্ভব নাও হতে পারে। এ ছাড়াও গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল ও  টার্ম লোনের নিয়মিত কিস্তি পরিশোধও কঠিন হয়ে পড়বে।

সংকট উত্তরণে বিটিএমএ বলেছে, টেক্সটাইল শিল্পের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে বিদ্যমান সংকট উত্তরণে ত্বরিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এ খাতটিতে ধ্বংস নেমে এলে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা থেকে উত্তরণ সম্ভব নাও হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর