একটি মহল রংপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। মহলটি মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সিটি করপোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে রসিক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৭ আগস্ট একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দুজনের বিপরীতে ১০ জন নিয়োগ ও ২১ আগস্ট বিগত মেয়রের আমলে নিয়োগ করা ১৭৭ জন কর্মচারী ছাঁটাইয়ের অভিযোগ তোলা হয়। যা স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে একটি ষড়যন্ত্র। ওই নিয়োগ এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সিটি করপোরেশনের বিশাল উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা করতে এক বছরের চুক্তির মাধ্যমে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে ১০ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিগত মেয়রের আমলে নিয়োগ দেওয়া ১৭৭ জন কর্মচারীদের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে না হওয়ায় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সেখান থেকে ১১৬ জনকে নেওয়া হয়। অবশিষ্ট ১১ জন উপসহকারী প্রকৌশলীসহ মোট ৬১ জন হাই কোর্টে রিট করেছে। যা বিচারাধীন। রংপুর নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে সিটি পরিষদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরদের পরামর্শে সব নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানান রসিক মেয়র। মেয়র বলেন, বিগত মেয়র রংপুর সিটি করপোরেশনের একটি জনবল কাঠামো মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠায়। কিন্তু তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি। ফলে সিটি করপোরেশনের প্রায় ৭২০ কোটি টাকার চলমান উন্নয়ন ও প্রায় ১০ লাখের অধিক নাগরিককে সেবা দিতে জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে তিনশ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে চারশ টাকা দৈনিক মজুরিতে কিছু সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে করপোরেশনের কর্মকা- পরিচালনা করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন, প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামসহ সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
