২০১৫ সালে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিবাদে দুটি ধারার সৃষ্টি হয়। সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজার অনুসারীরা দীর্ঘদিন এক প্লাটফরমে আসতে পারেননি। ২০১৮ সালে মোস্তফা রশিদী সুজার মৃত্যুর পর ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর শেখ হারুনুর রশীদ সভাপতি ও অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারীকে সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু সমন্বয়হীনতায় তারাও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে পিছিয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে মহানগরের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। কেন্দ্রের নির্দেশনায় ৭ সেপ্টেম্বর দলের বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় নগরীর ১২ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনের তারিখ, বাকি ৩৪টি ওয়ার্ড কমিটির তালিকা আহ্বান ও মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হবে। জানা যায়, কেন্দ্র থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহানগর ও জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দিতে বলায় এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশীরা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি এত দিনে হয়ে যেত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সাংগঠনিক কর্মকান্ড কিছুটা থমকে গেছে। তিনি বলেন, ‘যারা এত দিন দলের জন্য কাজ করেছেন, রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, সংগঠন পরিচালনা করেছেন, তাদের মধ্যে যদি ব্যর্থতা না থাকে তাহলে মূল্যায়ন করা হবে। পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের দিয়েই কমিটি গঠন করব।