দুই লেনের সড়ক চার লেনে পুনর্নির্মাণ কাজ করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি অংশ নগরীর ভিতর দিয়ে যাওয়া এই মহাসড়কটির প্রশস্তকরণ কাজ চলছে প্রায় ৭ মাস ধরে। কিন্তু এক মাস ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সড়কটি। কার্পেটিংয়ের সময় সাধারণত রাস্তার এক পাশ বন্ধ করে আরেক পাশ দিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এখানে সেটি করা হয়নি। সড়কের দুই পাশে মাটি তুলে পাহাড় করা হয়েছে। বাঁশ টানিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সড়কটি। মহাসড়কটি বন্ধ করেই চালানো হচ্ছে প্রশস্তকরণ কাজ। আর তাতে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী লাখ লাখ মানুষ পড়েছে ব্যাপক ভোগান্তিতে। অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদার হলেন রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক হোসেন ও সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সাবেক বিএনপি নেতা বজলুর রশিদ। তাদের প্রভাবের কারণে পুরো রাস্তাটিই বন্ধ করে চালানো হচ্ছে প্রশস্তকরণ কাজ। স্থানীয়রা জানায়, ৭ মাস আগে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের নগরীর বহরমপুর-কাশিয়াডাঙ্গার তিন কিলোমিটার রাস্তাটি প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয়। ২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই লেন থেকে সড়কটি চার লেনের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু গত এক মাস ধরে চার লেনই বন্ধ করে দিয়ে সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণ কাজ করা হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বহরমপুর বাইপাস মোড় রেলক্রসিংয়ের কাছে ইট বালু দিয়ে সড়কটি বন্ধ করা হয়েছে। চারকুঠার মোড় এলাকায় ট্রাক থেকে প্রশস্তকরণ কাজের মালামাল সড়কের মাঝখানে ফেলা হচ্ছে। ফলে দুই পাশ থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। ঠিকাদার মোস্তাক হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে তারা কাজটি শেষ করতে পারেননি। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করে রাস্তাটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এভাবে মহাসড়ক বন্ধ করে কাজ করার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার জানান, ঠিকাদারের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তারা কাজ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।