রবিবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ায় তোলপাড় চট্টগ্রাম

অস্বীকার করেছেন সিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও বিদ্রোহী আবদুল কাদের সমর্থকদের সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্রসহ আটক হয় মেহেদী হাসান ওরফে জিয়া নামে এক যুবক। আটকের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ কার্যালয়ে। পরে অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। ওই ঘটনায় এখনো তোলপাড় চলছে চট্টগ্রাম নগরীতে। তবে এ ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে কাউকে কাউকে আটক করা হলেও যাচাই-বাছাই শেষে কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রসহ আটকের পর কাউকে ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের একাধিক অনুসারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঘটনার দিন প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে দৌড়াদৌড়ি করেন জিয়া। ঘটনার সময় ফাঁকা গুলিও করেন। ঘটনাস্থল থেকে জিয়াসহ অনেককে গ্রেফতার করা হলেও অজ্ঞাত কারণে জিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ ঘটনার সময় অস্ত্র নিয়ে জিয়ার মহড়ার ভিডিওচিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদে। এমনকি হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে আটকের ঘটনাও প্রত্যক্ষ করেছে উপস্থিত সবাই। এক সূত্র জানায়, জিয়া কাউন্সিলর প্রার্থী বাহাদুরের সেকেন্ড ইন কমান্ড মোস্তাফা কামাল টিপুর ডান হাত হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি নগরীর পাঠানটুলী এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর এবং বিদ্রোহী আবদুল কাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

 এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আজগর আলী বাবুল নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী। আহত হন আরও একজন। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বিদ্রোহী প্রার্থী কাদেরসহ ২৬ জনকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর