ইনডোরে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস গতকাল দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে ‘হামলার আশঙ্কায়’ রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আকস্মিক বাস বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আজ (মঙ্গলবার) বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘বিএনপি একেবারেই মধ্য শহরের রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এসব এলাকায় সমাবেশ করলে মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। তীব্র যানজট দেখা দেবে। এজন্য মধ্য শহরে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা বলেছি- ইনডোরে সমাবেশ করতে হবে।’ ইনডোরে সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আমরা শহরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্বর, সোনাদীঘি বা গণকপাড়া এলাকায় সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কোথায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেই চিঠি এখনো পাইনি।
চিঠি পাওয়ার পর আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’ আজ বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ ঘিরে ‘হামলার আশঙ্কায়’ রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আকস্মিক বাস বন্ধ করে দেওয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা অনেকেই কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বিকল্প পথ হিসেবে অন্য যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের দাবি, বাস চলাচল করলে হামলার আশঙ্কা আছে। তাই শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা বাস চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরে তারা আবারও বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে বাস বন্ধ অযৌক্তিক বলছেন যাত্রীরা।
এদিকে বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, সমাবেশ পন্ড করতে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকে হঠাৎ রাজশাহী থেকে দেশের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
