করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। স্ত্রী, ছেলে, মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন সদালাপী এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। সামাজিক দূরত্ব মেনে গতকাল বাদ আসর রাজধানীর বনানী সামরিক কবরস্থানের পাশের মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী গত ১০ মার্চ জ্বর ও সর্দি নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হন। পরে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ১৩ মার্চ তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। গতকাল সকালে তাঁর আবারও হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
রুহুল আলম চৌধুরীর মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়াও এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাবেক এমপি মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন : গতকাল বাদ আসর বনানী সামরিক কবরস্থানের পাশের মাঠে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরীর নামাজে জানাজা শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদিন, অ্যাডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মেজর (অব.) হানিফ, মেজর (অব.) সারোয়ার, শায়রুল কবির খান, হাসান বিন শফিক সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের একমাত্র মেয়ের জামাতা এ কে এম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ফরিদপুর বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দলের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং একই কমিটির সদস্য সচিব ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম শোক প্রকাশসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
