শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সেই বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন নাকচের সিদ্ধান্ত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

সেই বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশন নাকচের সিদ্ধান্ত

আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত মো. আশিকুল ইসলাম বিটুর কোর্স রেজিস্ট্রেশনের আবেদন নাকচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বিটুর স্টে-অর্ডারের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আপিলের আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোর্স রেজিস্ট্রেশনের যে আবেদন সে করেছিল, তা নাকচ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় আশিকুলসহ ২৬ জনকে আজীবন বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আশিকুলের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ১০ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেন। আশিকুল ওই স্থগিতাদেশ নিয়ে বুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ ৪ এপ্রিল তাকে ক্লাসে ফেরার অনুমতি দেয়। ২২ মে কেমিকৌশল বিভাগের লেভেল-৩ টার্ম-১-এর একটি কোর্সের অনলাইন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় আশিকুল ইসলাম বিটুকে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়।   এদিকে এ রকম ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেটি নিশ্চিতের দাবিতে গতকাল বেলা ১১টায় বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বিটুর রেজিস্ট্রেশনের আবেদন নাকচ করায় বুয়েট কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান তারা। একই সঙ্গে আগামী ২৯ মের মধ্যে বিটুর স্টে-অর্ডারের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবিও জানান তারা। পরে শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা এই যে, ২৯ মের মধ্যে বুয়েট প্রশাসন তাদের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ ও ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি অফিশিয়াল বিবৃতি/নোটিস আকারে প্রকাশ করবে। আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা দুটি বিষয় বিবেচনা করছি-

১. ২৯ মের মধ্যে বুয়েট প্রশাসন আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

২. কোনো কারণে এই সময়ের মধ্যে আপিল করতে না পারলে, আপিল করার প্রতিশ্রুতি উল্লেখ করে একটি গ্রহণযোগ্য সময়সীমাসহ অফিশিয়াল বিবৃতি/নোটিসে অন্তর্ভুক্ত করবেন।

উপর্যুক্ত বিষয় দুটির যে কোনো একটি কার্যকরের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পুনর্বিবেচনা করে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর