দেশব্যাপী এক কোটি মাস্কসহ ২০০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার, ২০০ হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, ২০০ অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর বিতরণ এবং বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে অক্সিজেন বুথ স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই। গতকাল মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত দেশব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি  হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রহমান, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নিহাদ কবির, এফবিসিসিআইর সাবেক প্রথম সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, বিসিআইর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে দেশের ৬৪ জেলার চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সংযুক্ত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে আরও কিছু সময় লাগবে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে, পাশাপাশি ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলবে। এফবিসিসিআইর এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ বার্তা বয়ে আনবে। ব্যবসায়ীরা আজ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা যেহেতু এখনো শতভাগ টিকার আওতায় আনতে পারিনি, তাই মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলাসহ জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।

জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হলেই করোনা সংক্রমণ অনেকাংশে কমে আসবে; লকডাউনের মতো অবস্থায় আমাদের যেতে হয় না। আমরা লক্ষ্য করেছি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব রয়েছে। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তা প্রদানে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, করোনাজনিত সংক্রমণ রোধকল্পে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে এবং অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হচ্ছে।