কঠোর লকডাউন মানতে পঞ্চম দিনে রংপুরে অনেকের মধ্যে শিথিল ভাব লক্ষ্য করা গেছে। সড়কে অটোরিকশা বাদেও ব্যক্তিগত যানবাহন বেড়েছে। তরুণদের মোটরসাইকেলে অহেতুক চলাচল অনেক অভিভাবককে চিন্তায় ফেলছে। জরিমানা দিয়েও অনেকে যানবাহন চালাচ্ছে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখছে। গতকাল মহানগরের জিএল রায় রোড, সেন্ট্রাল রোড, সাতমাথায় দেখা গেছে প্রশাসনের তৎপরতা উপেক্ষা করে অনেকে রাস্তায় বের হয়েছেন। এর মধ্যে অহেতুক ঘোরাঘুরির সংখ্যাই বেশি। তরুণদের মধ্যে লকডাউন না মানার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অনেক তরুণকে মোটরসাইকেলে তিনজন নিয়ে অলিগলি দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে। তরুণদের বেপরোয়া চলাচলে অনেক অভিভাবক চিন্তিত। অনেকে জরিমানা দেওয়ার পরও রাস্তায় নামছেন।
সোমবার রাত পর্যন্ত রংপুর মহানগরে যানবাহনের অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় থানা ও ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মোট ১২৩টি মামলা করেছে। আটক করা হয়েছে ১২টি যানবাহন, জরিমানা করা হয়েছে হয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ছয় থানা, ট্রাফিক, ডিবিসহ জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীর টহল দল, র্যাব টহল দল ও বিজিবি টহল দল যৌথভাবে মেট্রোপলিটন এলাকায় লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ১২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এতে মোট ৫ হাজার ১০০ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও আনসার ব্যাটালিয়নের দুটি করে টহল দল কাজ করছে।
