বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

খরচাপাতি না পাওয়ায় বরাদ্দের ১০ লাখ টাকা ছাড়তে গড়িমসি

নোয়াখালীর আলগী খালে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন মন্ডলীয়া গ্রামে রিকশাওয়ালা দোকান সংলগ্ন চর আলগী খালে বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১০ লাখ টাকা ছাড়তে গড়িমসি করছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তা। অভিযোগ উঠেছে অফিস ‘খরচাপাতি’র টাকা না দেওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। খালের ভাঙন থেকে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল ও মসজিদ রক্ষার জন্য বাঁধ নির্মাণের উদ্দেশে কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন নোয়াখালী-৫ আসনের এমপি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ধানশালিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চর আলগী খালের ক্রসড্যাম প্রকল্পের সভাপতি ইয়াকুব নবী খালের দুই পাশে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজের শেষ পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও জোয়ারের পানিতে নির্মাণাধীন বাঁধ ভেসে যায়। এখন বরাদ্দকৃত টাকা না পাওয়ায় অনেক শ্রমিকের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। ইয়াকুব নবী জানান, তিনি বরাদ্দকৃত টাকার বেশি ব্যয় করেছিলেন। জানতে চাইলে ধানশালিক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চর আলগী ক্রসড্যাম প্রকল্পের সভাপতি ইয়াকুব নবী জানান, খালের পাশে স্কুল ও মসজিদ রক্ষার উদ্দেশে বাঁধ করতে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের শেষ পর্যায়ে সেটা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ও জোয়ারের পানি বাঁধ ভাসিয়ে নেয়। সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাঁধ নির্মাণের ভাঙা কিছু দেখা গেছে। এ সময় স্থানীয় সাইফুল ও জাহিদসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, বাঁধ তৈরির শেষ পর্যায়ে অতিরিক্ত জোয়ারের তোড়ে টিকাতে পারেনি। বাঁধের দুই পাশের বেশিরভাগ পানিতে  ভেসে গেছে। বরাদ্দের ১০ লাখ টাকা ৩০ জুন উত্তোলন করেছেন কবিরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ। প্রকল্প সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব নবীর অভিযোগ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অফিস খরচ না দেওয়ায় তিনি বরাদ্দকৃত টাকা দিতে গড়িমসি করছেন। আজতক আমি কাজের কোনো টাকা পাইনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দেখলাম কোনো কাজ হয়নি, প্রকল্পের সভাপতি তো আমায় কাজটা বুঝিয়ে দেননি, কীভাবে টাকা দেব। স্থগিত রেখেছি। অফিসের খরচ দাবি বিষয়ে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। জানতে চাইলে কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলি জানান, শুনেছি বাঁধ নির্মাণের শেষ পর্যায়ে জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেসে গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রকল্প কর্মকর্তা গড়িমসি করে বরাদ্দের টাকা চেয়ারম্যানকে দেননি এবং প্রকল্প বরাদ্দের কিছু টাকা তিনি দাবি করছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি।

সর্বশেষ খবর