রাজশাহীর শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ। এখানে এখন টিকা কেন্দ্র করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাঁটু পানি মাড়িয়ে টিকা নিতে আসছেন শত শত মানুষ। ৫০ গজ দূরেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেখানেও রোগীরা চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন পানি মাড়িয়ে। মেডিকেল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হালও একই। ভারী বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় নগরীজুড়ে। বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে নগরীর নিচু এলাকাগুলো। দেখা দেয় চরম দুর্ভোগ। বছরজুড়েই এমন জলাবদ্ধতার শিকার নগরবাসী। স্থানীয়রা জানান, রাজশাহী মহানগরীজুড়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান। তারপরেও বৃষ্টির পানি নামতে সময় লাগছে। বৃষ্টিতে নগরীর সাহেববাজার, মিয়াপাড়া, রানীবাজার, গণকপাড়া, শালবাগান, উপশহর, স্টেডিয়াম এলাকা, কোর্ট এলাকা, লক্ষ্মীপুর, মহিষবাথান, ভাটাপাড়া, চন্ডীপুর, হেলেনাবাদ কলোনি, বুলনপুর, হড়গ্রাম, ছোটবনগ্রাম, সপুরাসহ নিচু এলাকাগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। পানি উঠে বাসাবাড়িতে। নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী বাবলু জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। তিন দিন থেকে জলাবদ্ধতার মধ্যে বসবাস করছেন ওই এলাকার ৬৪ পরিবার। তারা ঘর থেকেও নামতে পারছেন না। নগরীর ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এসব এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থারও তেমন উন্নয়ন হয়নি। ফলে পানি মাড়িয়ে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয় রোগী ও স্বজনদের। সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত হলে নগরীর কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
তবে আধা ঘণ্টার বেশি পানি জমে থাকে না। এখন বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের কাজ চলছে। এ কারণে পানি নামতে কিছুটা বেশি সময় নিচ্ছে। তবে জলাবদ্ধতা দূর করতে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন।