পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেছেন, আসন্ন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে মানহানির উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। খন্দকার আজিজুল হক আরজু বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, আমি এ এম রফিকউল্লাহকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছি। সেই জিডিকে মামলায় রূপান্তরের জন্য গল্প সাজানো হয়েছে। এটি আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। তিনি বলেন, আগামীতে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমি সভাপতি প্রার্থী। সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন কাকে সভাপতি করবেন। আমার জনপ্রিয়তা এবং আমার প্রতি জনগণের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস দেখে অন্য যারা সভাপতি প্রার্থী হতে ইচ্ছুক তারা এবং তাদের অনুসারীরা মনে করেন, আমাকে কলংকিত করতে পারলে ওই জায়গাটি তাদের জন্য নিরাপদ হবে। আমি যেন সভাপতি পদে প্রার্থী হতে না পারি সেজন্য তারা আমার ভাবমূর্তির ওপর কালিমা লেপনে তৎপর। এম রফিকউল্লাহ নিজ কণ্ঠে বলেছেন, ওই বাড়িতে তিনটি কার্তুজের খোসা পাওয়া গেছে, তিনটি গুলি হয়েছে। একাধিক ককটেল ব্লাস্ট হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি তখন কী করছিলেন? তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না, ঘুমাচ্ছিলাম। আজিজুল হক আরজু বলেন, ‘কাউকে ভয় দেখাতে গেলে বা যাকে হত্যা করা হবে তিনি তখন ঘুমিয়ে থাকলেন। এমন একটি কথা তিনি নিজেই বলেছেন। এসব পুরোপুরি মিথ্যাচার।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের কার্যকরী সভায় বলেছেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমি গত দশম জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলাম। একাদশ সংসদ চলছে। জানি না কী কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেননি। এ জন্য আমি বিচলিত নই। এই আসনে যাকে ভালো মনে করেছেন তাকে দিয়েছেন। আমার দায়িত্ব ছিল নৌকাকে বিজয়ী করা। আমি আন্তরিকভাবে সেই দায়িত্ব পালন করেছি।