জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, বিদ্যমান সংকট নিরসনের একমাত্র বিকল্প জাতীয় সরকার গঠন করা। তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে বর্তমান সরকার বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুটোকেই পরিত্যাগ করেছে। এখন রাষ্ট্রের একমাত্র পথ হচ্ছে গণজাগরণের মাধ্যমে জাতীয় নৈতিক শক্তির পুনরুজ্জীবন ঘটানো। এ পুনরুজ্জীবিত শক্তিই জাতীয় সরকার গঠন করবে। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জেএসডি ঢাকা মহানগর সমন্বয় কমিটির মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ‘জাতীয় সরকার গঠন ও দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের’ দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। জেএসডি ঢাকা মহানগর কমিটির সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সমাবেশে জেএসডি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, জেএসডি নেতা সাকাম আনিসুর রহমান খান কামাল, মিসেস তানিয়া রব, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ প্রশ্নে হাই কোর্ট একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। অথচ সরকার এ রায় বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। রায় বাস্তবায়ন প্রলম্বিত করা কল্যাণকর হতে পারে না।
জেএসডি সভাপতি বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো বিনষ্ট ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আইনের শাসনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মানুষের ভোটাধিকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদকে হরিলুট করার সুযোগ প্রদানসহ রাষ্ট্রকে দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের অপশাসনের কারণে বাঙালি জাতীয়তাবাদ চরম ঝুঁকিতে পড়ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হচ্ছে। সমাজে হিংসা, প্রতিহিংসা, নিষ্ঠুরতা বিস্তার লাভ করছে।
তিনি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণ এক দুর্যোগকালীন সময় অতিক্রম করছে। চাল, ডাল, পিঁয়াজ, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দিনরাত হাঁড়ভাঙা খাটুনির পরও জনগণ পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা কিংবা বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে সরকার মুনাফালোভী চক্রের হীন স্বার্থ রক্ষায় সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে।
