রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
এ ক ন জ রে

মন্দিরে যারা হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিন্দুদের মন্দিরে যারা হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।  রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুল হাকিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামিম, ইকবাল হোসেন অপু এবং রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজি ইরাদত আলী প্রমুখ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মো. জিল্লুল হাকিমকে সভাপতি, কাজি ইরাদত আলীকে সাধারণ সম্পাদক, শেখ সোহেল রানা টিপুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

গত ১২ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের সহিংসতা বা সমস্যা হয়নি- দাবি করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এ অপকর্ম করেছে। যারা এ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা হিন্দুদের মন্দিরে হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এ অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না তাদের গাত্রদাহ হওয়াই স্বাভাবিক। ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একটি মহল ধর্মের মূল চেতনাবিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে বারবার সহিংসতার সুযোগ খুঁজছে। তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।

‘সরকার এসব তা বে জড়িত’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চান। সরকার দেশে স্থিতিশীলতা চায়। সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে? দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির যে অপচেষ্টা হয়েছে বা হচ্ছে এবং এর পেছনে যারা মদদ দিচ্ছে, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী ও নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো কোনো জেলা থেকে তথ্য গোপন করে যারা বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বর্তমানে যারা দলে বা নির্বাচনে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের হারানোর কিছু নেই। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে শেখ হাসিনা তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যতক্ষণ নেতৃত্বে আছেন কারও শ্রম-ত্যাগ বৃথা যাবে না। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে অভিযোগের পাহাড় বা স্তূপ জমা হয়ে আছে। অথবা দফায় দফায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। প্রায় ৪০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। অভিযোগ করলেই যে সব সত্য- এমনটাও মনে করার কিছু নেই।

‘নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে’ নিজের পক্ষে রাখতে বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর