হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করে। এই দোষারোপের রাজনীতিতে পার পেয়ে যায় আসল অপরাধীরা। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাবিরোধী এক সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দেশের ৬৮টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফরম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ স্লোগানে এই সমাবেশের আয়োজন করে। ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাগুলো নজিরবিহীন। সমাবেশে সাবেক তত্ত¡ বধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সাম্প্রদায়িকতার যে ভাইরাস ঢুকে গেছে, সেটার টিকা কোথায়? সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সাদেকা হালিম, নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সালমা আলী প্রমুখ।
ঘোষণাপত্র পড়ে শোনান আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিচালক নীনা গোস্বামী। ঘোষণাপত্রে সরকারের কাছে ১২ দফা দাবি ও আহ্বান জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা নির্বাসিত করতে চেয়েছিলাম, তাকে নানাভাবে ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত চলছে। একে প্রতিহত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ গড়ে তুলে সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।