অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, মানসম্মত বাসস্থান প্রত্যেকটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বর্তমান সরকার সে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতেই কাজ করে যাচ্ছে। কেউই গৃহহীন থাকবে না। গতকাল হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ বক্তব্য দেন। বিএইচবিএফসির ঋণের কিস্তি সোনালী ই-সেবার মাধ্যমে অনলাইনে জমা ব্যবস্থার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ঋণের কিস্তি অনলাইনে জমা ব্যবস্থার উদ্বোধনের ফলে প্রতিষ্ঠানটির ঋণের কিস্তিসহ সব রকম বিক্রয়যোগ্য ফরমের মূল্য ও সরকার নির্ধারিত ফি-র অর্থ এখন যেকোনো স্থান থেকে তাৎক্ষণিক পরিশোধ করা যাবে। এখন সোনালী ব্যাংক লি. (এসবিএল)-এর সোনালী ই-সেবা পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে গ্রাহকের নিজ একাউন্টের টাকা স্থানান্তর, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড অথবা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে এ জমা সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। জমা পরবর্তীতে জমাকৃত অর্থের তথ্য এবং বিদ্যমান ঋণ স্থিতির তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে অটো জেনারেটেড ভাউচার এবং এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহক জানতে পারবেন। বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিমের সভাপতিত্বে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালের দিলকুশা হলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, এসবিএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং বিএইচবিএফসি পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গৃহ নির্মাণে সরকারি পর্যায়ে ঋণ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন পুনর্গঠন। এ ছাড়া তিনি গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনায় বাসস্থান সংস্থানের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতার রক্তের উত্তরাধিকার বর্তমান প্রজন্মের কিংবদন্তি ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার গৃহ পরিকল্পনা অনুসরণ করে তা বাস্তবায়নে যুগান্তকারী সব উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মযজ্ঞ গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বস্তিবাসীদের জন্য স্বল্পমূল্যে ফ্লাট নির্মাণ প্রকল্প থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহঋণ, গৃহহীন জনসাধারণের জন্য আশ্রয়নসহ সব স্তরের মানুষের জন্য গৃহ ঋণের সংস্থান করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ‘মুজিববর্ষে আমাদের লক্ষ্য, একজন মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না’।